পরিচিত বহু মানুষ ইউরিক এসিড জনিত সমস্যায় ভুগছেন।বেশি পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক। এটি আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। সুতরাং ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের প্রয়োজন।চলুন আজ জানি এই অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে কি কি সমস্যা হয়, কোন কোন জিনিসের থেকে দূরে থাকা উচিত আর কিভাবে কমানো যায়।
শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার লক্ষণঃ
- পায়ে ব্যথা অনুভূত হওয়ার পাশাপাশি জোড়ায় ব্যথা।
- গোড়ালিতে ব্যথা অনুভূত হওয়ার সাথে সাথে ফোলাভাব। ★ব্যথা অনেক সময় অতিরিক্ত এবং অসহনীয় হতে পারে।
- ব্লাড সুগার বৃদ্ধি ইউরিক অ্যাসিড অন্যতম লক্ষণ।
ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে কি কি করবেন?
- প্রচুর পরিমাণে জল/পানি পান করুন।দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকলে, ইউরিক অ্যাসিড প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়।
ইউরিক এসিড বেড়ে গেলে যেসব খাবার পরিহার করতে হবে
- অর্গান মিট অর্থাত্ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ জাতীয় মাংস যেমনঃ কলিজা, মগজ, জিহ্বা, ফুসফুস, কিডনি, ইত্যাদি খাওয়া যাবেনা।
- অধিক চর্বিযুক্ত গরুর মাংস, খাসির মাংস, ভেড়ার মাংস বা মহিষের মাংস খাওয়া যাবে না। এইসব মাংস যদি খেতে চান তাহলে একেবারে চর্বি ছাড়া মাংস অল্প করে খাবেন।
- সামুদ্রিক মাছ এবং শক্ত খোসাযুক্ত প্রাণী যেমন চিংড়ি, শামুক, কাকড়া ইত্যাদি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।সব রকমের ডাল, মটরশুটি, সিমের বিচি, কাঁঠালের বিচি ইত্যাদি খাওয়া পরিহার করতে হবে।
- মধু, চিনির সিরাপ, চিনিযুক্ত পানীয়, বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত ফলের জুস, কোমল পানীয় একেবারেই খাওয়া যাবেনা।কিছু কিছু শাকসবজি যেমন: পালং শাক, পুঁই শাক, ব্রকোলি, ফুলকপি এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়া মাশরুমও খাওয়া যাবে না।
- চিনিযুক্ত পানীয়, এলকোহোল এবং ক্যাফেন জাতীয় পানীয় খাওয়া যাবে না।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ বাধ্যতামূলক। শুধুমাত্র ডায়েট করলেই ওজন কমানোর রীতিমতো সুবিধাগুলি পাওয়া অসম্ভব। তাই দরকার নিয়মিত ব্যায়াম। স্বল্প সময়ের মধ্যে ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত আধ ঘণ্টা ব্যায়াম করতেই হবে। দ্রুত গতির হাঁটা, জগিং বা সাঁতার কাটা, যোগ আসন ইত্যাদি ভাল ব্যায়াম।
নিয়মিত ব্যয়াম করার আরও সুবিধা হল ঘুম ভালো হয় এবং মনঃসংযোগ বাড়বে, বেড়ে যাবে মেটাবলিক রেটের হার। কমবে স্ট্রেস আর কোলেস্টরল। ত্বক ও চুল ভালো থাকবে পাশাপাশি ভালো থাকবে স্বাস্থ্য। যারা কর্মের খাতিরে যাদের দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করতে হয়, তাদের জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই।
এবার দেখে নিন যেসব খাবার বেশি বেশি খাবেন
- অধিক আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। সবুজ সবজি-শাক এবং ফলমূলে প্রচুর খাদ্য আঁশ থাকে, এই আঁশ ইউরিক এসিড কে শরীর থেকে মল আকারে বের করে দেয়।
- চর্বিহীন মাংস খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে মুরগির মাংস উত্তম। তবে চামড়া এবং পাখনা খাওয়া যাবেনা কারণ এতে প্রচুর চর্বি থাকে।
- তাছাড়া পরিমাণ মতো মাছ এবং কুসুম ছাড়া ডিম খাওয়া যাবে।
- ফ্যাট ছাড়া দুধ বা স্কিম মিল্কও খেতে পারবেন।
- বেশি বেশি টক ফল বা ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে।
- গ্রিন টি ইউরিক এসিড কমাতে সহায়তা করে। তাই ইউরিক এসিড কমাতে নিয়মিত গ্রিন টি পান করতে পারেন।
- এই সময় চাহিদার তুলনায় বেশি পানি/জল পান করবেন।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/ডা-অনির্বাণ-মোদক-পূজন-106765094929779
লেখক
ডা: অনির্বাণ মোদক পূজন
এমবিবিএস,বিসিএস(স্বাস্থ্য-রিকমেন্ডেড) ডি-কার্ড (বিএসএমএমইউ,ঢাকা)
এমএসিপি (আমেরিকা), ডিএমইউ(আল্ট্রা)
কনসালটেন্ট -কার্ডিওলজি।
জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
হৃদরোগ, বাতজ্বর ও উচ্চ রক্তচাপ রোগ বিশেষজ্ঞ
চেম্বার :
মাধবপুর মা-মনি হাসপাতাল
হাজী রুপু মিয়া ভবন (সেমকো ফিলিং ষ্টেশনের বিপরীতে)
মাধবপুর, পৌরসভা, হবিগন্জ্ঞা।
তথ্য,সেবা,সিরিয়াল:
০১৭০৫৪৭৬৭২৫,০১৭০৫৪৭৬৭২৪,০১৭০৫-৪৭৬৭২৬.
রোগী দেখার সময়: প্রতি বুধবার সকাল ৯.০০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/ডা-অনির্বাণ-মোদক-পূজন-106765094929779