আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কারণে অকারণে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ সেবন করি। প্রথম অবস্থায় এটা খুবই সহজলভ্য হওয়ায় হাতের নাগলে পাওয়া যায়।
ঔষধ কিন্তু খাবার নয় যে এটা আপনি প্রতিদিন খাবেন।
গ্যাস্ট্রিকের সঠিক চিকিৎসা না করে অনেকে মাসের পর মাস এন্টাসিড সিরাপ, ওমিপ্রাজল গোত্রের ওষুধ, ডমপেরিডোন গোত্রের ওষুধ সেবন করেন। গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সমাধানে এসব ওষুধের বেশির ভাগেরই কোনো প্রয়োজন নেই। শুধু খাওয়াদাওয়া ও জীবনযাপনের নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ থাকতে পারবেন। যাঁদের বয়স বেশি, তাঁদের উচিত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে রোগ নির্ণয় করে ব্যবস্থা নেওযা।
দীর্ঘ মেয়াদে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়ার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। এতে টাইফয়েডের মতো কিছু সংক্রমণ হতে পারে। এ ছাড়া রক্তশূন্যতা ও হাড়ক্ষয় রোগ হতে পারে। কিডনি রোগীদের অ্যান্টাসিড–জাতীয় ওষুধে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদে এসব ওষুধ খেলে পাকস্থলীর পিএইচ পরিবর্তিত হয়ে যায়, এমনকি পাকস্থলীর ক্যানসারও হতে পারে।
সঠিক খাদ্যাভাস, পর্যান্ত ঘুম, নিয়মিত ব্যায়ামের মধ্য দিয়েই আপনাকে গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ধৈর্য সহকারে নিজের ডায়েট চার্ট মেনে চলুন। ভালো থাকুন।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/trust.a.dietitian
লেখক
Nusrat Jahan
Nutrition and Diet Consultant
অনলাইন কাউন্সিলিং এর জন্য যোগাযোগ করুন এই নম্বরে, 01881925632,
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/trust.a.dietitian