উজ্জ্বল ত্বক বলতে আমরা ফর্সা নয় বরং স্বাস্থ্যকর ত্বক বুঝিয়ে থাকি। ত্বকের সুস্থতা সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন কারণে বিশেষ করে পরিবেশগত দুষণ, সূর্যরশ্মি এবং ফ্রী রেডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব আমাদের ত্বকের উপর মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে থাকে। ফলশ্রুতিতে একনি, ব্রন, হাইপারপিগমেন্টেশনের মতন সমস্যা হয়। আর এ ধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রানের জন্য আমাদের এমন খাবার নির্বাচন করা প্রয়োজন যে খাবার এ ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সক্ষম।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার এক্ষেত্রে চমৎকার উদাহরণ।
কিশমিশ বা রেইসিনকে আমরা একটি উত্তম এনার্জি সোর্স হিসেবে গন্য করে থাকি। ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানে পরিপূর্ণ থাকে কিশমিশ বা শুকনো আঙুর। প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলের পাশাপাশি এই কিশমিশে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোকেমিক্যালস। কিশমিশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর ফ্রী রেডিক্যাল দূর করে এবং রক্ত পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। ফলে একনি বা ব্রনের মতন সমস্যা দূর হয়। এছাড়া কিশমিশে থাকা ভিটামিন সি ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
'ইন্ডিয়ান ডার্মাটোলজি অনলাইন জার্নাল'এর তথ্য মতে কিশমিশের ভিটামিন-সি ত্বকের ক্ষত সারতে এবং ত্বকের হাইপারপিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া 'ইন্ডিয়ান জার্নাল অব ফার্মাকোলজি ' এর মতে কিশমিশের ভিটামিন-কে বিভিন্ন ত্বকীয় প্রদাহ ঠিক করতে সাহায্য করে। সুতরাং ত্বকের সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য করে থাকে কিশমিশ।
ত্বক আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখা প্রয়োজন। তাই প্রতিদিন গুটিকয়েক কিশমিশ গ্রহণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর ত্বক পাওয়া সম্ভব।
লেখক
পুষ্টিবিদ মুনিয়া মৌরিন মুমু
নিউট্রিশনিস্ট, বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস (উত্তরা ব্রাঞ্চ)
এক্স-ডায়েটিশিয়ান, ভাইবস হেল্থ কেয়ার বাংলাদেশ এবং বেক্সিমকো ফার্মা ডায়েট কেয়ার ডিভিশন
www.facebook.com/NutritionistMonia