অধিকাংশ মানুষ এখন স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা বিবেচনা করে গ্রিন-টি পান করেন। গ্রিন-টি এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হচ্ছে এতে উপস্থিত পলিফেলনিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিকর ফ্রি-রেডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে এবং ঝুঁকিপূর্ণ রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে । এই চায়ের বহুবিধ উপকারিতার কথা বিবেচনায় এটা স্বাস্থ্যকর পানীয় তবে স্বাস্থ্যকর পানীয় গ্রহণ করাটিই শেষ নয়, গ্রহণ করতে হবে সঠিক উপায়ে।
গ্রিন-টি এর ক্ষেত্রে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখা জরুরী
১/ ফুড সাইন্টিস্টদের গবেষণা মতে গ্রিন-টি তৈরির পরপরই পান করা প্রয়োজন কারণ চা বানিয়ে বেশ কিছু সময় রেখে দিলে চায়ের রঙ পরিবর্তন হয়ে লালচে রঙ এমনকি সময় বাড়ার সাথে সাথে কালচে রঙে পরিবর্তন হয়। এটা সাধারণত এক ধরনের এনজাইমের প্রভাবে ঘটে থাকে যেটা কিছু সংখ্যক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টকে ভেঙে তাদের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই গবেষকদের মতে গ্রিন-টি থেকে সম্পূর্ণ উপকারিকা পেতে চা তৈরির আট মিনিটের মধ্যে পান করা উত্তম।
২/ আর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হচ্ছে তাপমাত্রা। গবেষকদের মতে গ্রিনটি তৈরির ক্ষেত্রে তাপমাত্রা স্ফুটনাঙ্কের নিচে অর্থাৎ ৭৫-৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা উত্তম। কারণ চায়ে উপস্থিত অধিকাংশ বায়োঅ্যাক্টিভ কম্পাউন্ড অতি উচ্চ তাপে তাদের গুণাগুণ হাড়ায়। এছাড়া উচ্চ তাপে চায়ের পূর্ণ টেস্ট, অ্যারোমা এবং ফ্লেভার ও নষ্ট হয়।
তাই স্বাস্থ্যকর পানীয় গ্রিন-টি থেকে সর্বোচ্চ উপকারিতা পেতে চাইলে পান করতে হবে সঠিক উপায়ে।
লেখক
পুষ্টিবিদ মুনিয়া মৌরিন মুমু
নিউট্রিশনিস্ট, বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস (উত্তরা ব্রাঞ্চ)
এক্স-ডায়েটিশিয়ান, ভাইবস হেল্থ কেয়ার বাংলাদেশ এবং বেক্সিমকো ফার্মা ডায়েট কেয়ার ডিভিশন
www.facebook.com/NutritionistMonia