এখন মধুমাস চলছে। আর এই সময়ে একটা পুরাতন বিষয় আবার নতুন করে আলোচনায় আসে, আর সেটা হচ্ছে ফরমালিন। অনেকেই আছেন যারা হয়ত ফরমালিনের ভয়ে ফল খাওয়ায় বন্ধ করে দিয়েছন। আপনাদের জন্য আজকের এই লেখা।
আপনাদের শুরুতেই জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশের কোন ফলমুল বা শাকসব্জিতে ফরমালিন দেওয়া হয় না। ফরমালিন বা শাকসব্জিতে ফরমালিন দিয়ে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হয়না। ফরমালিন শুধু প্রোটিন জাতীয় খাদ্য সংরক্ষণ করতে ব্যাবহার করা হয়। তাই, আপনারা নিশ্চিন্তে সবধরনের ফল খেতে পারেন। আপনাদের বাচ্চাদেরও খাওয়াতে পারেন। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলেছি, নিশ্চিন্তে সবধরনের ফলমুল আর শাকসবজি খান।
আচ্ছা যদি ফলে ফরমালিন থেকেই থাকে তাহলে??
তাহলেও কোন চিন্তা নাই, নিশ্চিন্তে ফল খান। জ্বী ঠিকই শুনেছেন, ফলে ফরমালিন দেওয়া থাকলেও নিশ্চিন্তে ফল খাবেন।
কেন খাবেন?
ফরমালিন এমন একটা পদার্থ যা শুধু প্রোটিন জাতীয় খাবারের সাথে বন্ধন তৈরি করতে পারে। মাছ মাংস সংরক্ষনে ফরমালিন ব্যাবহার করা হয়। তবে আপনারা ফরমালিন নিয়ে যেমনটা সহজে ভাবেন তেমন টা নয়। মানে ফরমালিনের মধ্যে মাছ বা মাংস ডুবিয়ে তুলে নিবেন বা ফরমালিন মেশানো পানি মাছ বা মাংসের উপরে ছড়িয়ে দিলেই সংরক্ষণ হয়ে যাবে ব্যাপার টা কিন্তু মোটেও তেমন না। ফরমালিনের ব্যাবহারও অনেক জটিল প্রক্রিয়া।শাকসবজি বা ফলমুলে ফরমালিন ইউজ করলে এটা শাকসবজি এবং ফলমুলের বাইরের পৃষ্ঠে জাস্ট লেগে থাকে। ভাল করে পানিতে ধুলেই খুব সহজেই এই ফরমালিন সম্পুর্ণ চলে যায়। তাই আপনারা নিশ্চিন্তে ফলমুল আর শাকসবজি খান, শুধু খাওয়ার আগে ভাল করে ধুয়ে খান।
ফল পাকাতে অন্যান্য উপাদান??
ফলপাকাতে অন্যান্য উপাদান যেগুলো ইউজ করা হয় যদি আপনি সরাসরি ভক্ষন করেন তাহলে নিশ্চয় তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হবে। কিন্তু এগুলো আমরা খায়না। যেমন কার্বাইডের কথায় ধরেন। কার্বাইডের কাজ হচ্ছে এসিটিলিন গ্যাস নির্গমনের মাধ্যমে একটা গরম পরিবেশ তৈরী করা, যার ফলে ফলের ভিতরে ফল পাকার ইথিলিন হরমোম তৈরী হয়, আর ফল পেকে যায়। এটা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এই কার্বাইডের সাথে ফলের সংস্পর্শও ঘটে না।এছাড়াও অন্যান্য যা কিছু ইউজ করা হয়, সবগুলো একই প্রক্রিয়ায় কাজ করে। আপনি যদি এসবের পরিবর্তে একটা ফলের ঝুড়ির মধ্যে একটা পাকা ফল রেখে দেন তবুও ঐ ঝুড়ির সমস্ত ফল পেকে যাবে। সেক্ষেত্রে ঝুড়িটা বাতাস চলাচল কম হয় এমন স্থানে রাখতে হবে।
কৃত্তিমভাবে পাকানো ফলের পুষ্টিগুন কেমন?
এটা নির্ভর করে ফলের পরিপক্বতার উপরে। আপনি যদি পরিপক্ক ফল কৃত্তিম উপায়ে পাকান, সে ফলের পুষ্টিগুন প্রাকৃতিকভাবে পাকা ফলেরমতই হবে। কিন্তু ফল যদি অপরিপক্ব ফল পাকান তাহলে সেফলের পুষ্টিগুন কিছুটা কম হবে।
পুষ্টিবিদ মোঃ ইকবাল হোসেন।
চেম্বারঃ
সার্জিস্কোপ হাসপাতাল, ইউনিট-২, কাতালগঞ্জ, চট্টগ্রাম। প্রতি শুক্রবার থেকে বুধবার, সন্ধ্যা ৭ঃ০০ টা থেকে রাত ১০ঃ০০ টা পর্যন্ত।
সিরিয়ালের জন্যঃ ০১৭৬৪-৭৮৬৭৫৩
অনলাইন সেবা পাওয়ার জন্য
হোয়াটস এ্যাপ নম্বর-01533843123
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/Nutritionist.Iqbal